বিদেশের ব্যয়বহুল শিক্ষাব্যবস্থার সাথে আমাদের মানিয়ে নিতে দ্বারস্থ হতে হয় শিক্ষাবৃত্তি বা স্কলারশিপের। যদি স্কলারশিপ না নিয়ে আপনি যদি শুধু পার্ট- টাইম চাকরি করে পড়াশুনার খরচ নির্বাহ করতে চান- তাহলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না । তাই, যদি নিজের বা পিতামাতার অর্থে পড়াশুনার পুরো ব্যয় নির্বাহ করা না যায়, তাহলে স্কলারশিপ হবে আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম পাথেয়। আর বর্তমান দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে আপনি ঘরের মধ্যে বসেই সব খবরা-খবর পেতে পারেন – চোখের নিমেষে। এবং নিজের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করে নিতে পারেন স্কলারশিপ। চলুন আমরা আজ এক এক করে জেনে নেই শিক্ষাবৃত্তি লাভের যাবতীয় কলা-কৌশল।
স্কলারশিপের প্রকারভেদ
বিদেশে আসলে দুইধরণের স্কলারশিপ পাওয়া যায়, যথাঃ
১। সরকারি কিম্বা রাষ্ট্রীয় স্কলারশিপ
২। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক স্কলারশিপ
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক স্কলারশিপগুলোর তথ্য জানতে আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবপেজ ঘাটতে হবে। এছাড়া সরকারি স্কলারশিপ তো আছেই। জনপ্রিয় সরকারি স্কলারশিপগুলো হলঃ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ডাড, বিকে-২১, মনবুকাগাকুশো সহ ইত্যাদি।
আপনাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন দেশের কিছু গুরুত্ব ওয়েবসাইটের URL দেওয়া হলঃ
অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপের জন্যঃ www.dst.gov.au
আমেরিকার স্কলারশিপের জন্যঃ www.wes.org, www.educationusa.state.gov
সাইপ্রাসে স্কলারশিপের জন্যঃ www.einnews.com,
ইউরোপে স্কলারশিপের জন্যঃ www.euroeducation.net
ভাষা ও ইন্টার্নশিপ তথ্যের জন্যঃ www.language-learning.net,www.studyabroad.com, www.goabroad.com
স্কলারশিপ ও আর্থিক সহযোগিতার জন্যঃ www.financialaidofficer.com, www.iefa.org
সহযোগিতায় গুগলঃ স্কলারশিপ খুঁজুন অনলাইন এ
স্কলারশিপ অর্জনের জন্য প্রথমত আপনাকে যথেষ্ঠ সময় ইন্টারনেটে ব্যয় করতে হবে। বিভিন্ন তথ্য জনাতে আপনাকে গুগলের সহযোগিতা নিতে হবে। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রোগ্রামে যাচ্ছেন, সে সব তথ্য ওয়েবসাইট ঘেটে বের করে নিতে হবে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আছে সেগুলো দেখতে হবে। সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেখানে অবস্থিত সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কি কি স্কলারশিপ দেওয়া হয়, সেগুলোকেও ভুলে গেলে চলবে না। প্রতিদিন আপনাকে ১০-১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে স্কলারশিপ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্ত্তি কর্মকর্তাকেও মেইল করে রাখতে পারেন। স্কলারশিপের জন্য কি কি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে- সেটা খুঁজে দেখতে হবে। CGPA কত প্রয়োজন, আর GRE/ GMAT/ SAT/ CAT এ কত স্কোর লাগবে – সবটা খুঁটে খুঁটে দেখতে হবে।
হ্যাঁ, বুঝছি- এই কাজটি রীতিমত বিরক্তিকর, যখন পর্যাপ্ত ও আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না তখন বিরক্তি চরমে উঠবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আপনি তথ্য যত জানতে পারবেন ততই আপনি এগিয়ে থাকবেন। আর যখন বিদেশে পাড়ি জমাবেন, দেখবেন আপনি যা যা ঘেটে বের করেছেন সবটাই বাস্তবের সাথে মিলে গেছে। তাই, হাল ছেঁড়ো না বন্ধু, বরং খোঁজ চালাও জোরে – সফলতা আসবেই।
CGPA বিভ্রাটঃ কম/বেশি বিষয় না, চেষ্টা করতে হবে
ভালো CGPA স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সহায়ক। আপনার আন্ডারগ্রাজুয়েটের CGPA আপনাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনার CGPA ৩.৭৫ এর উপরে থাকলে আপনার আবেদনকে যথেষ্ঠ মূল্যায়ন করা হবে। আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে না। কিন্তু কম CGPA দিয়ে কিছু হবে না- আপনি কোন স্কলারশিপ পাবেন না, এই ধারণার এখন কোন ভিত্তি নেই। এমনকি আপনার CGPA ৩.০ এর কম হলেও আপনার পরিশ্রম ও লেগে থাকার ক্ষমতা এনে দিবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। একজন শিক্ষার্থী আন্ডারগ্রাজুয়েটের সময় যে পরিশ্রমটা করেছে, স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে এখন সেই পরিশ্রমটা করতে হবে। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
আপনি চাইলে Corsera থেকে করে নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট কিছু অন-লাইন কোর্স। দক্ষতা অর্জনের জন্য শিখে নিতে পারেন কিছু Software, যেমনঃ SPSS, Matlab, Solid works, CAD সহ ইত্যাদি। শিখে নিতে পারেন প্রোগ্রামিং ভাষা, যেমনঃ Python,php, Java সহ অন্যান্য। চিন্তা কি ? আপনি চাইলে ফ্রী কোর্সও করতে পারেন। এছাড়া পেইড কোর্স তো আছেই। Udemy, Youtube থেকে শুরু করে Standford বিশ্ববিদ্যালয়ও অন-লাইনে কোর্স অফার করে।
এছাড়া ভালো GRE/ GMAT স্কোর ও TOFEL/ IELTS ব্যান্ডস্কোর ক্ষতি পোষাতে অনেক সহায়ক হবে। তাই, CGPA খারাপ মানেই সব শেষ না বরং নতুন করে শুরু।
গবেষণা পত্র বা পাবলিকেশন্স
স্কলারশিপ পেতে গবেষণাপত্র বা Publications খুব কার্যকর ভুমিকা রাখে। যদি ভাল Peer Review Journal এ আপনার কোন Publication থাকে, তবে আপনার পোর্টফলিও আরও ভালো ও কার্যকরী হবে। তাই, Publications এ গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
এই ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে উল্লেখ্য, যারা মাস্টার্স প্রোগ্রামে যাচ্ছেন তাদের জন্য গবেষণ পত্র না থাকলেও কিছুটা ছাড় পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পিএইচডি প্রোগ্রামে আপনার গবেষণা পত্র থাকা একান্তই বাধ্যতামূলক। পিএইচডি প্রোগ্রামে আপনার দেশী বা বেদেশী মাস্টার্স থাকতে হবে এবং থিসিস ও প্রকাশনা থাকতে হবে। যদি দেশীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন এবং আপনার কোন থিসিস নেই, সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিদেশে গিয়ে আবার মাস্টার্স করতে হবে।
ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে বিষয়ে পড়তে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ বা চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে তা ভর্তি ও স্কলারশিপ পেতে বেশ কার্যকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ খুঁজে বের করুন।
প্রফেসর/সুপারভাইজার অনুসন্ধানঃ কিভাবে খুঁজবেন?
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসরগণ সর্বেসর্বা। তারা রিকমেন্ড করলে ভর্ত্তি থেকে শুরু করে স্কলারশিপ সবই সহজ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, প্রফসরের হাতে থাকে ফান্ড – থাকে TA/RA প্রদান করার ক্ষমতাও। তাই যদি প্রফেসর সদয় হন, তাহলে সকল মুশকিল আহসান।
প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করার উপায় হল ইমেইল লেখা। তাই আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা তুলে ধরতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি প্রফেসরের ই–মেইল এড্রেস পাবেন কি করে?
সাধরণতঃ বিভিন্ন জার্নালে প্রফেসরের মেইল এড্রেস পাওয়া যাবে। তাই প্রফেসরের নাম লিখে গুগল স্কলারে সার্চ করলে তার জার্নালগুলো পাওয়া যাবে। আর সেখান থেকে তার ই-মেইল এড্রেস পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও খোঁজ মিলবে প্রফেসরের মেইল এড্রেস।
দেশের বাইরে অধিকাংশ প্রোগ্রাম গবেষণাধর্মী। তাই, আপনি গবেষণাগার বা Lab – এর ওয়েব সাইট ঘেটেও পেতে পারেন প্রফেসরের সন্ধান ও তার বায়োডাটা। Lab এর ওয়েব পেজে Members / Team নামে অপশন থাকে সেখানে আপনি আপনার প্রফেসরকে পেতে পারেন।
প্রফেসর খোঁজার আরো একটি উপায় হলঃ এই লিংকে ব্রাউজ করে [ http://www.4icu.org/ ] আপনি পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধান পাবেন। এবার দেশ, তারপর বিশ্ববিদ্যালয় তারপর সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রফেসর খুঁজে তার রিসার্চ ইন্টারেস্ট, মেইল, মোবাইল থেকে তার সম্পূর্ণ বায়োডাটা পাওয়া যাবে।
পরবর্তী কাজ হল, এই জার্নালগুলো ভালো করে স্টাডি করা। এরপর প্রফেসরের Interest Area এর সাথে মিল রেখে রিসার্চ প্রপোজাল লিখে তাকে মেইল করতে হবে। এভাবেই প্রফেসরকে নিজের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে এবং অর্জন করতে হবে শিক্ষাবৃত্তি।
প্রফেসরকে মেইল করার ব্যাপারে আপনার নিম্নোক্ত বিষয় গুল মাথায় রাখতে হবেঃ
১। First Impression is the last impression – এই প্রবাদটা ভুলে গেলে চলবে না। তাই প্রফেসরকে আপনি প্রথম যে মেইলটি পাঠাবেন তা হতে হবে নির্ভুল ও মার্জিত। মেইল অযথা বড় করবেন না। বড় ও অপ্রয়োজনীয় লেখা পড়ার সময় প্রফেসরের থাকে না।
২। শুধু মেইল নয়, তার সাথে সংযুক্ত করুন আপনার সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত এবং রিসার্চ প্রপোজাল। এই রিসার্চ প্রপোজাল পাঠানোর আগে আপনার প্রফেসরের রিসার্চ এরিয়া ও রিসার্চ ইন্টারেস্ট ভাল করে জেনে নিতে ভুলে যাবেন না। এই ক্ষেত্রে একটা জিনিস মনে রাখা উচিত, রিসার্চ প্রপোজাল একটি Unpublished লেখা, যা সহজেই নকল হতে পারে। তাই রিসার্চ প্রপোজাল মেইল করার সময় প্রফেসরের অফিসিয়াল মেইলে উক্ত প্রপোজালটি পাঠানো উচিত এবং রিসার্চ প্রপোজালের কপি সংরক্ষণ করা উচিত।
৩। মেইলের প্রথমেই ফান্ড নিয়ে কথা বলা শোভনীয় নয়। অসামঞ্জস্যপূর্ণ রিসার্চ প্রপোজাল দিয়েও কোন কাজ হবে না। আবার, বার বার মেইল করে প্রফেসরকে বিরক্ত করাও বাঞ্ছনীয় নয়। যদি ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রফেসর ফিরতি মেইল অর্থাৎ রিপ্লাই না দেয়, তবে “ফলাফল শূন্য” ধরে নিয়ে পরবর্তী প্রফেসর খোঁজায় মন দিতে হবে।
ল্যাংগুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি ও অন্যান্য
ভাষাগত দক্ষতা প্রমাণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পরীক্ষা IELTS (International English Language Testing System), যেখানে Listening, Reading, Writing and Speaking- এর পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ব্যান্ড স্কোর থাকে ৯.০ তবে স্কলারশিপ পেতে ৭.০ স্কোর প্রয়োজন হয়। তবে কোন সেকশনেই ৬.৫ স্কোরের নিচে পাওয়া যাবে না । IELTS এর মত TOEFL (Testing of English as a Foreign Language) এ Listening, Reading, Writing and Speaking- এই চার সেকশনে পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং প্রতি সেকশনে ৩০ করে মোট ১২০ পয়েন্টের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আপনার প্রজ্ঞা নিরীক্ষার জন্য সাধারনত বসতে হবে GRE (Graduate Record Examination), GMAT (Graduate Management Admission Test), অথবা, CAT (Common Admission Test) – যেখানে Verbal ও Quant এই দুই সেকশনে পরীক্ষায় বসতে হবে। GRE পরীক্ষার পূর্ণ মান ৩৪০, GMAT এর স্কেল হল ৮০০ এবং CAT নেওয়া হয় ৩০০ মার্কস এর মধ্যে। নর্থ/সাউথ আমেরিকান কান্ট্রিগুলোর জন্য GRE মাস্ট! GRE ছাড়া স্কলারশিপের কথা ভাবতেই পারবেন না।
বিশেষ গুণ (Co-Curricular Activities):
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য শুধু পড়াশনা নয়,বরং সব ধরণের যোগ্যতা প্রয়োজন। বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই খেলাধুলা বা অন্যান্য বিশেষ গুণাবলীর জন্যে টিউশন ফি তে খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়। অনেক সময় খেলাধুলা বা বিশেষ কোন ভাষার ওপরেও দেওয়া হয় স্কলারশিপ। এছাড়াও কিছু নির্দিষ্ট দেশ রয়েছে, যেমন- জাপান, যারা নিজেদের ভাষাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে আর সেজন্যেই নিজেদের ভাষাতে পারদর্শী শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপের জন্যে সুযোগও দেয়। সেক্ষেত্রে CGPA -এর পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করে তুলুন সেই ভাষা, খেলা অথবা অন্যকিছুতে। ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কখনোই দেরি করবেননা। প্রথমে বিদেশে গিয়ে তারপর ভাষায় দক্ষ হওয়াটা একেবারে অসম্ভব না হলেও বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্যে তো আরো কষ্টের। আর তাই বাইরে পড়তে যাবার আগেই যে ভাষাটি শিখতে চান, শিখে ফেলুন। এক্ষেত্রে, ইন্সটিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বা আইএমএল তো রয়েছে। এছাড়াও আছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, আলিয়স ফ্রেসেজসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান যারা আপনাকে বিদেশি ভাষার ওপর দক্ষ হতে সাহায্য করবে।
মোটিভেশন লেটার ও বায়োডাটা
প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করা ও তাকে নিজের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে প্রয়োজন মোটিভেশন লেটার। দু’জন দুই ভুবনের মানুষের মাঝে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মোটিভেশন লেটারের বিকল্প নেই। তাই মোটিভেশন লেটার হতে হবে মার্জিত, সংক্ষিপ্ত ও অনুপ্রেরণামূলক।
আবার অনেক সময় প্রফেসরকে মুগ্ধ করতে জীবন বৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হয়। এক্ষেত্রে জীবন বৃত্তান্তে নিজের সব ধরণের অভিজ্ঞতার বিবরণ তুলে ধরতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ কোথায় এবং কিভাবে করতে হবে?
SOP (Statement of Purpose) থেকে Motivation Letter সব যোগাড়-জন্ত হলে পরের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে আবেদন করা। International Scholarships গুলোকে গুগলে সার্চ করলে মিলবে আবেদন করার লিংক। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ওয়েব পোর্টালেও সকল স্কলারশিপের যাবতীয় তথ্য থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাইটে সার্কুলার আসে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে। তাই তখনি ওয়েব সাইটগুলোত শ্যেন দৃষ্টি রাখতে হবে।
এই লিঙ্কে গিয়ে জেনে নিতে পারেন এ সম্পর্কেঃ http://www.moedu.gov.bd/site/view/moedu_scholarship-archive/Scholarship
স্কলারশিপ পাওয়া কোন জটিল প্রক্রিয়া নয়। যদি ধৈর্য্য সহকারে সব কাজ করে গেলে আপনিও অর্জন করতে পারবেন স্কলারশিপ বা শিক্ষাবৃত্তি। তাই এখনি শুরু করেন আপনার প্রস্তুতি।
তথ্যসুত্রঃ
১। https://www.thedailycampus.com/scholarship/23604/স্কলারশিপ-পেতে-যা-যা-যোগ্যতা-থাকতে-হবে
২। https://campuslive24.com/scholarship/16981/যেভাবে-সহজেই-বিদেশে-পড়াশোনার-সুযোগ-পেতে-পারেন
৩। https://www.platform-med.org/8484-2/
৪। https://www.germanprobashe.com/archives/7670
৫। https://www.germanprobashe.com/archives/7613
৬। https://10minuteschool.com/blog/5-best-undergraduate-scholarship/
লেখক/লেখিকা পরিচিতিঃ
সংশ্লিষ্ট আর্টিকেল সমুহঃ
- স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ - হাঙ্গেরিতে… হাঙ্গেরি ইউরোপের একটি অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এটি মধ্যে ইউরোপের…
- ব্রেক্সিট–পরবর্তী নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা ব্রেক্সিট–পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার…
- রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুণ,নিজের আবেদন ইউরোপ-আমেরিকার ব্যয়বহুল শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের জন্য হয়ে ওঠে…
- আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুণ, নিজের আবেদন নিজেই করুণ নিজের আবেদনের আজকের পর্ব সাজানো হয়েছে বিশ্বের অন্যতম…