যুক্তরাজ্যে পড়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ হলো ব্রিটিশ চেভেনিং বা শেভেনিং স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের অফিসিয়াল নাম শেভেনিং মাস্টার্স স্কলারশিপ, যা যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রী প্রত্যাশীদের দেওয়া হয়ে থাকে। ১৯৮৩ সাল থেকে ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের অর্থায়নে যাত্রা শুরু করে শেভেনিং স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় এই বৃত্তি। আর বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আর পড়াশুনা করতে পারে তাদের স্বপ্নের দেশ United Kingdom-এ। বাংলাদেশ সহ নেপাল, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, চীন, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, সাউথ কোরিয়া, ব্রাজিল ইত্যাদি দেশেরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে।
স্কলারশিপ এর নাম
শেভেনিং মাস্টার্স স্কলারশিপ
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
শেভেনিং স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাজ্যের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কোর্সের জন্যই প্রযোজ্য। তবে এই স্কলারশিপ শুধু এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য দেওয়া হয়। কিন্ত, এই মাস্টার্স প্রোগ্রাম রিসার্চ বেজড হতে পারবে না- এবং পড়াশুনার শেষে আবশ্যই আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সহ আরোও ১88 টি দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। তবে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আমেরিকার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে না।
আবেদন প্রক্রিয়া
শেভেনিং স্কলারশিপে আবেদনের কিছু নিয়ম কানুন আছে- সেগুলো হলঃ
১। যুক্তরাজ্য সরকারের শেভেনিং বৃত্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। প্রথমে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আর তারপর আপনি আবেদন করবেন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য।
২। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে। এজন্য আবেদনের লিঙ্ক নীচে দেওয়া হলঃ
৩। সকল ফাইল স্ক্যান করে PDF (Portable Document Format) ফরম্যাটে সাবমিট করতে হবে আর ডকুমেন্ট সাইজ ৫ মেগাবাইটের বেশী হতে পারবে না।
আর শেভেনিং স্কলারশিপে আবেদন করতে প্রয়োজন পরবেঃ
১। ইংরেজীতে লিখিত ২ টি রেফারেন্স লেটার (লেটার ফরম্যাটে)
২। পাসপোর্ট
৩। ব্যাচেলরের ট্রান্সক্রিপ্ট
বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে।
যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
আবেদনে সময় সব তথ্য ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে
নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা, আগামী দিনের নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়।
আপনি যদি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেটিও কাজে আসবে।
সতর্কবার্তাউপরোক্ত আর্টিকেল এর সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং এম্বেসী এর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। হালনাগাদ তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বেসী এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরোক্ত আর্টিকেল এর কোন তথ্য/উপাত্ত আপনার কাছে ভুল মনে হলে সঠিক তথ্যের রেফারেন্স/ওয়েবলিংক সহ নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these cookies, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may have an effect on your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. This category only includes cookies that ensures basic functionalities and security features of the website. These cookies do not store any personal information.
Any cookies that may not be particularly necessary for the website to function and is used specifically to collect user personal data via analytics, ads, other embedded contents are termed as non-necessary cookies. It is mandatory to procure user consent prior to running these cookies on your website.