বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত কমনওয়েলথ স্কলারশীপ অন্যতম। কমনওলেথ স্কলারশিপ দেওয়া হয় কমনওলেথ ভিত্তিক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে Department of International Development। প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদশ কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। এই বৃত্তি উদ্যোমী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্কলারশিপ এর নাম
কমনওয়েলথ স্কলারশীপ
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
বিবেচিত বিষয় সমুহ সম্পর্কে জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট স মুহের সাহায্য নিতে পারেন –
www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)
একজন আবেদনকারীকে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি যেকোনো একটি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা
১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়লেথ কমিশন
২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমানের টিকিট।
৩. লন্ডন অথবা লন্ডনের বাইরে বসবাসের মাসিক ভাতা
৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন টাকা পাওয়া যায়
৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’
৬ ‘থিসিস গ্র্যান্ট’
৭. এ ছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।
আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।
আবেদনের যোগ্যতা
কমনওলেথ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবেঃ
১। কমনওলেথ দেশের নাগরিক অথবা শরণার্থী হতে হবে
২। UK-এ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের আবেদন করতে হবে আর আবেদনের জন্য প্রয়োজইনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে
৩। দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন তার কারণ দর্শাতে হবে
৪। আবেদনকারীর কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির (২:১) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকতে হবে, যা সিজিপিএ ৩.০–এর সমতুল্য। তবে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
৫। যাঁরা আগে বিদেশে থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁরা স্নাতকোত্তরের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে অন্য কোনো বৃত্তির অধীনে স্নাতকোত্তর করে থাকলে পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন।
৬। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডির জন্য নিবন্ধন করলে বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
৭। কমনওয়েলথভুক্ত বা নিজ দেশের বাইরে অবস্থানকালে কেউ আবেদন করলে গ্রহণযোগ্য হবেন না।
৮। যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদনের হালনাগাদ সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-
www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)
কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট–সাইট স্টাডি)
Image Source: Internet
আবেদন প্রক্রিয়া
কমনওয়েলথ স্কলারশীপের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দীর্ঘমেয়াদী যা কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ১ বছরেরও বেশি সময় লাগে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
কমনওলেথ স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয় প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকে। এপ্লিকেশন প্রথম দিকে করাই ভালো। পরে এপ্লিকেশনের প্রেশার বাড়লে সার্ভার অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ব্রাউজ করুনঃ
প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক মনোনীত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হলো আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিবছর ইউজিসি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। www.ugc.gov.bd
আবেদনের নিয়মাবলীঃ
১। যুক্তরাজ্যের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় কমনওয়েলথের এই স্কলারশিপের সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সিএসসি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।
২। সকল ফাইল স্ক্যান করে PDF ফরম্যাটে সাবমিট করতে হবে আর ডকুমেন্ট সাইজ ৫ মেগাবাইটের বেশী হতে পারবে না।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। পাসপোর্ট/ নাগরিকত্ব সনদ
২। একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট
৩। রেফারেন্স লেটার- পরবর্তীতে যিনি রেফারেন্স দিয়েছেন, তাকে মেইল করা হবে।
সতর্কবার্তাউপরোক্ত আর্টিকেল এর সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং এম্বেসী এর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। হালনাগাদ তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বেসী এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরোক্ত আর্টিকেল এর কোন তথ্য/উপাত্ত আপনার কাছে ভুল মনে হলে সঠিক তথ্যের রেফারেন্স/ওয়েবলিংক সহ নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these cookies, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may have an effect on your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. This category only includes cookies that ensures basic functionalities and security features of the website. These cookies do not store any personal information.
Any cookies that may not be particularly necessary for the website to function and is used specifically to collect user personal data via analytics, ads, other embedded contents are termed as non-necessary cookies. It is mandatory to procure user consent prior to running these cookies on your website.