মালেয়েশিয়া এশিয়ার অন্যতম একটি দেশ- আর এই দেশ পরিচিত এর উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য। যদি আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমাতে চান বিদেশে, আর যদি বেছে নেন মালয়েশিয়া- জ্বী হ্যাঁ, আপনি কোন ভুল করেন নি- বরং সবচেয়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলুন যাই, আজ আলোচনায় বসি কিভাবে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় আর করে ফেলি নিজেই নিজের আবেদন।
কেন মালয়েশিয়া পড়তে যাবেন?
আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাতির বিন মোহাম্মদ অতি সুনিপুণ পারদর্শিতা ও দক্ষ শাসকের ন্যায় গড়ে তুলেছেন আজকের এই উন্নত মালয়েশিয়া। এই দেশ আজ বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে- আর বিশ্বের দরবারে কড়িয়েছে নিজের সুনাম। মালয়েশিয়া দক্ষিন এশিয়ার গর্ব আর রাজধানী কুয়ালালামপুর। এদেশের অফিশিয়াল ভাষা মালায় ও মুদ্রা রিঙ্গিত। এই দেশের আয়তন ৩,৩০,৮০৩ বর্গ কিলোমিটার আর সার্বিক জিডিপি ৩৮১.৫২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই দেশের মোট ১৩টি প্রদেশ রয়েছে। এই দেশে প্রতিটি স্তরে যেমনঃ শিক্ষা, যোগাযোগ, স্থাপত্য, শিল্প ইত্যাদিতে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাইতো, প্রতি বছর ভ্রমণ পিপাসু থেকে জ্ঞান পিপাসুরা ভিড় জমায় এই দেশে- আর প্রতি বছর এই ভিড় যেন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকার সাথে টেক্কা দেওয়ার মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে মালয়েশিয়া। আর তাই আপনিও যদি পড়তে চান উন্নত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।
Image Source: pixabay.com
মালয়েশিয়া পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
ডিপ্লোমা কোর্স: ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য নূনতম উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স: আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য ন্যূনতম ১২ বৎসরের পূর্বতন শিক্ষা অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের শিক্ষা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম ১৬ বৎসরের পূর্বতন শিক্ষা অর্থাৎ ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী। ডক্টরাল (PhD) ডিগ্রী:ডক্টরাল (PhD) কোর্সের জন্য পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী এবং ব্যাপক গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা দরকার হয়।
এছাড়া ব্যচেলর পাশ করেও মালয়েশিয়াতে ডিপ্লোমা অথবা পূনরায় ব্যচেলরে যাওয়া যায়। কারণ মালয়েশিয়াতে স্টাডি গ্যাপ গ্রহনযোগ্য।
ভাষাগত যোগ্যতা
মালয়েশিয়ায় IELTS ছাড়া পড়তে যাওয়া যায়- তবে বর্তমানে IELTS স্কোরের চাহিদা বাড়ছে। সাধারনত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৬.০ IELTS স্কোর চায়, কিন্তু নাম-করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৬.৫ IELTS স্কোর চায়।
কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
মালয়েশিয়ায় রয়েছে ওয়াল্ড র্যাঙ্কিং-এর উপররের দিকে থাকা বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা খুলেছে এই দেশে। এই দেশের লেখা পড়ার সকল কারিকুলাম USA, UK, Australia- কে মাথায় রেখে করা হয়েছে। স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষার সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যেমনঃ উন্নত রিসার্চ ল্যাব, লাইব্রেরী, ক্যাম্পাস, আধুনিক শিক্ষা সরঞ্জাম, দক্ষ শিক্ষক ইত্যাদি। মোট কথা, ইউরোপ-আমেরিকায় না গিয়ে সেই দেশের মানের ও গুণের শিক্ষা পেতে পারেন মালয়েশিয়ায়। আবার ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় এইদেশে শিক্ষার জন্য আপনাকে ওই পরিমাণ অর্থও খরচ করতে হবে না।
মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা ৪টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়: ১. ডিপ্লোমা কোর্স: এটি ২ থেকে ৩ বৎসর সময় লাগে। ২. আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স: এটি ৩ থেকে ৫ বৎসর মেয়াদী। ৩. পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী: ১.৫ থেকে ২ বৎসর মেয়াদী। ৪. ডক্টরাল (PhD) ডিগ্রী: ৩-৫ বৎসর মেয়াদী।
Image Source: Internet
এই দেশে আপনি ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করতে পারবেন প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই। মালয়েশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অসংখ্য বিষয়ে পাঠদান করা হয় যেমন,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট,ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি,ইঞ্জিনিয়ারিং,মেডিসিন (এম বি বি এস),বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,মর্ডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশন,ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স,হেলথ সায়েন্সেস,চার্টার্ড একাউন্টেন্সি,এগ্রিকালচার,ফরেস্ট্রি,ইসলামিক ষ্টাডিজ,এনভায়রোনমেন্টাল সায়েন্স,ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার, ইত্যাদি।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে ব্রাউজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট।
নিচে কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ
১। Universiti Malaya (UM)
২। Universiti Kebangsaan Malaysia (UKM)
৩। Universiti Putra Malaysia
৪। Universiti Sains Malaysia (USM)
৫। Universiti Teknologi Malaysia
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা, প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
মালয়েশিয়ায় বছরে তিনটি সেমিস্টার পড়ানো হয়। প্রথম সেমিস্টারটি চলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেমিস্টারটি চলে মে থেকে আগস্ট। আর বছরের তৃতীয়টি বা বছরের শেষটি হল সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর।
অন্যান্য অনেক দেশের মত এই দেশে বসতে হবে না আপনাকে কোন ভর্তি পরীক্ষায়। কোন স্কাইপি বা অনলাইন ইন্টারভ্যুয়ের বালাই এই দেশে নেই। আবেদনের শুরুতেই আপনার কাজ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা। যদি আপনি সরকারী বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন তাহলে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হবে আর অনেক সময় লাগবে। অন্যদিকে আপনি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন, তাহলে অনেক কম সময়ে আর অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পেয়ে যাবেন এডমিশন। সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় একটি অফার লেটার ইস্যু করে আর সেটা পাঠিয়ে দেয় EMGS-এ আর সেখান থেকে ইস্যু করা হয় আপনার Approval Letter. এই EMGS এর পূর্ণ রূপ হল Education Malaysia Global Service. এই প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়, ইমিগ্রেশন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে। মালায়েশিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয় ইমিগ্রেশনের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে না। তাই তারা শিক্ষার্থীদের সকল কাগজ পাঠিয়ে দেয় EMGS-এ আর এই EMGS সকল ডকুমেন্টস ভেরিফাই করে সত্যতা যাচাই করে পাঠিয়ে দেয় ইমিগ্রেশনে। ইমিগ্রেশন একটি Approval Letter প্রদান করে- এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেই Approval Letter সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ
১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট
২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৩। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্র ও আবেদন ফি-প্রদানের ডকুমেন্টস
৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। রেফারেন্স লেটার
৬। IELTS
৭। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র
Image Source: Internet
পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ
মালয়েশিয়ায় টিউশন ফি ৪৫০০ থেকে ২৫,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু লো র্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫০০ থেকে ৭০০০ রিঙ্গিত হয়ে থাকে। তবে মান সম্পন্ন শিক্ষার জন্য আপনাকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। EMGS এর ফি দিতে হবে ১০০০ রিঙ্গিত। মনে রাখবেন এই ফি অফেরতযোগ্য। এছাড়া ইনস্যুরেন্স ফি ৫০০ থেকে ৮৫০ রিঙ্গিত, মেডিকেল ফি ২৫০ রিঙ্গিত দিতে হবে।
এই দেশে কিছু সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ আছে। এই সব স্কলারশিপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখতে হবে।
স্কলারশিপ লাভের সূযোগ:
মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য নানা ধরনের স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। তবে স্কলারশিপ লাভের জন্য খুব ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকতে হয়। এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। খারাপ রেজাল্ট নিয়ে স্কলারশিপের জন্য শুধু শুধু প্রচেষ্টা করে লাভ নেই। তবে ফুল স্কলারশিপ না পেলেও আংশিক স্কলারশিপের সুযোগ আছে। নিচে মালয়েশিয়ায় পড়ালেখার জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান বৃত্তি দিয়ে থাকে তার একটি তালিকা দেওয়া হল-
মালয়েশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল বৃত্তি: (Malaysian International Scholarship (MIS) ওয়েব সাইট: biasiswa.mohe.gov.my/INT/
কমোনওয়েল্থ শিক্ষা বৃত্তি: (COMMONWEALTH Scholarship and Fellowship plan (CSFP)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড: Example: Nilai University Offering 50% scholarship
UCSI University offering 45% scholarship, Xiamen University70%, Manipal university, Mahsa University, KDU offering 30% এছাড়াও গবেষণা সহযোগী (Research Assistance ship) লাভ করা যায়।
আর্থিক স্বচ্ছলতা
আপনাকে ভিসা আবেদনের সময় আপনাকে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। আর মালয়েশিয়ায় এক বছরের থাকা খাওয়া ও টিউশন ফি-এর বাবদ যত অর্থ প্রয়োজন সেটা ব্যাংকে গচ্ছিত দেখাতে হবে।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট
মালয়েশিয়ায় ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে ঢাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়ার এম্বেসীতে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে ভিসার আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য মূখ্যত প্রয়োজন পরবে EMGS থেকে প্রাপ্ত Approval Letter. এই Approval Letter ও অন্যান্য ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর যাচাই বাছাই শেষ হলে আপনাকে ৩ মাসের ভিসা দেওয়া হবে। এরপর মালয়েশিয়ায় যাবার পর রেজিস্ট্রেশন ও মেডিক্যাল চেক-আপ ও কার্যক্রম শেষ করার পর ১ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
Image Source: Internet
নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ
১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
২। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
৩। CV, Statement of Purpose (SOP) ও রেফারেন্স
৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS (যদি প্রয়োজন হয়)
৫। No Objection Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]
৬। Approval Letter
৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার
৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স
১০। হেলথ ইন্স্যুরেন্স
ভিসা পেতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। আরা ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি ৩০ মার্কিন ডলার।
Working Days: Sunday – Thursday Working Hours: 8.30 a.m – 4.30 p.m (Lunch Break: 12.30 pm – 1.30 pm) Public Holidays: Friday & Saturday
মালয়েশিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা
মালয়েশিয়ায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা। এজন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে। তারা আপনার হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দিবে।
মোটামুটি ৮-১০ হাজার টাকার ভেতরেই থাকার বিষয়টি সেরে ফেলা যাবে। ভাড়া কেমন হবে তা নির্ভর করছে এলাকা, বাসস্থানের ধরন (স্টুডেন্ট হল, ক্যাম্পাসের বাইরের কোনো এপার্টমেন্ট, একতলা বাড়ি, দোতলা বাড়ি প্রভৃতি), বাসায় থাকা সুবিধাদি, এবং অবশ্যই কতজন মিলে একসাথে থাকছে তার উপর।
Image Source: Internet
পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও জীবনযাত্রার ব্যয়
পড়াশুনা চলাকালীন সময়ে ৭ দিনের অধিক ছুটিতে পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে, যা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। এছাড়া পার্ট টাইম কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবশ্যই আবেদন করতে হবে। আর কাজ করার জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে স্টুডেন্ট পাস। মিনি মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্যাফে এবং পেট্রোল পাম্পগুলোতে কাজ করার সুযোগ আছে।
তবে কাজ করে খুব কম আয় করা যায় এখানে। এই অর্থ দিয়ে টিউশন ফি প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।
বিশ্বের আধুনিক দেশগুলোর তুলনায় মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়ার খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাড়তি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন মালয়েশিয়া।
জীবন ধারণ বাবদ আপনাকে খরচ করতে হবে মাসিক ৫০০-৬০০ রিঙ্গিত। এই অর্থে আপনি মাসিক থাকা-খাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে মাসিক খরচ নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের উপর। আপনার জীবন ধারণের ব্যয় অনুযায়ী এই খরচ বাড়তে বা কমতে পারে।
মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাস
পড়াশুনা শেষে মালয়েশিয়ায় জব করতে গেলে প্রয়োজন পড়বে Employment Pass। এই পাস পেতে আপনার দুই বছরের কন্ট্রাক্ট পেপার লাগবে আর বার্ষিক স্যালারি হতে হবে ১২০৫ মার্কিন ডলার। আর স্থায়ী PR এর জন্য আপনাকে থাকতে হবে একটানা ৫ বছর।
তবে দেরী কেন? আজই প্রস্তুতি নিন আর করে ফেলুন নিজেই নিজের আবেদন।
সতর্কবানীউপরোক্ত আর্টিকেল এর সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং এম্বেসী এর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। হালনাগাদ তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বেসী এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরোক্ত আর্টিকেল এর কোন তথ্য/উপাত্ত আপনার কাছে ভুল মনে হলে সঠিক তথ্যের রেফারেন্স/ওয়েবলিংক সহ নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these cookies, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may have an effect on your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. This category only includes cookies that ensures basic functionalities and security features of the website. These cookies do not store any personal information.
Any cookies that may not be particularly necessary for the website to function and is used specifically to collect user personal data via analytics, ads, other embedded contents are termed as non-necessary cookies. It is mandatory to procure user consent prior to running these cookies on your website.