“Donde fueres, haz lo que vieres” – এটি একটি স্প্যানিশ প্রবাদ যাকে ইংরেজীতে বলা যেতে পারেঃ Wherever you go, do whatever you see আর সোজা বাংলায়, যেমন দেশ, তেমন বেশ আর তেমনি হওয়া উচিত কার্য-কলাপ। শুরুতেই আপনাদের স্পানিশ জ্ঞান সাগরের তীরে নিয়ে ফেললাম। অন্যভাবে, স্পানিশ ফুটবল, খাবার অথবা স্পানিশ মুভি পৃথিবীয় অন্যতম ক্লাসিক ব্যাপারের একটি যেন। এতো স্পানিশ চর্চা করছি, নিশ্চই বুঝতে পারছেন- আজ আপনাদের সাথে আলোচনায় বসবো স্পেনের উচ্চশিক্ষা নিয়ে। আর দেরী না করে শুরু করে দেই- স্পেনে উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুন নইজের আবেদন।
কেন স্পেনে পড়তে যাবেন?
পড়াশুনার জন্য যদি যেতে চান ইউরোপ, আর গন্তব্য যদি হয় স্পেন- তাহলে মনে রাখবেন, স্পেন আপনাকে বিশাল হৃদয় নিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে। পড়াশুনার পরিবেশ, চর্চার জায়গা ও বিকাশ ও সার্বক সুযোগ ও মানের বিচারে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে আছে। শুধু কি তাই- খোদ আমেরিকা থেকেও এই দেশে পড়তে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তাহলে, বুঝতেই পারছেন- স্পেন অনেকটাই এগিয়ে বিদ্যার্জনের পীঠস্থান হিসেবে।
পশ্চিম ইউরোপের সেঞ্জেনভুক্ত দেশ স্পেনের সাংবিধানিক নাম Reino de España, ভাষা স্প্যানিস, মুদ্রা ইউরো আর রাজধানী মাদ্রিদ- এদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। আইবেরীয় উপদ্বীপে অবস্থিত স্পেনের আয়তন ৫,০৫,৯৯০ বর্গ কিলোমিটার যা বিশ্বর ৫১তম বৃহৎ, ও লোকসংখ্যার গণনায় এই দেশে বসবাস করে ৪৭ মিলিয়ন লোক। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মনে, পর্তুগাল বিশ্বে ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২.৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই দেশ পৃথিবীর অন্যতম উন্নত অর্থিনীতির দেশ। তাই, এই দেশ আপনাকেও এনে দিতে পারে সাফল্য।
কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
স্পেনের শিক্ষার মান বিশ্বমানের- আর এজন্যই বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী এই দেশে পড়তে আসেন। প্রতিবছর সারাবিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্পেনের মোট ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন। স্পেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। স্পেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় স্প্যানিশ ভাষায়। কিন্তু শুধু স্প্যানিশ নয়, এদেশে ইংরেজী ভাষায়ও পাঠ দান করা হয়ে থাকে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি সব প্রোগ্রামই ইংরেজী ভাষায় করার সুযোগ আছে। এজন্য আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে যেনে নিতে হবে। কিন্তু যদি আপনার জানা থাকে স্প্যানিশ ভাষা তাহলে আপনার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মোচন আরো সহজ হবে- সুযোগের দিগন্ত হবে অনেক সুদূর প্রসারী।
নিচে আপনাকে স্পেনের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হল:
- Universitat de Barcelona
- Universidad Complutense de Madrid
- Universitat de València
- Universidad de Granada
- Universitat Autónoma de Barcelona
- Universidad Politécnica de Madrid
- Universidad de Sevilla
- Universidad de La Rioja
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ও তালিকা আরো বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করে দেখুন নিচের ওয়েবসাইটঃ
স্পেনে পড়াশুনার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী আপনার কোর্স বেছে নিতে পারেন। অন্যতম কিছু কোর্সঃ
ফিজিকোলজি, ফিলোসফি, অডিওলজি, আরলি চাইল্ডহুড এডুকেশন, লাইব্রেরি সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি অকুপেশনাল থেরাপি প্রোগ্রাম, ফুড সায়েন্স, স্পেশালিষ্ট টিচার এডুকেশন, ফার্মাসি, ফিশারিস, এডমিনিস্ট্রেটিভ ল, সিভিল ল, পাবলিক ল, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিওথেরাপি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ল, আর্ট এন্ড ডিজাইন, এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, মেরিটাইম সায়েন্স, আর্টটেকচার, অটোলজি, সয়েল সায়েন্স, জার্নালিজম, মেডিক্যাল সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, ডেনটিসট্রি, অর্থোপেডিকস, রেডিওলোজী, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, আর্টস, বিজনেস স্টাডিজ, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, সোশাল ওয়ার্ক, নার্সিং, ভেটেরিনারি মেডিসিন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাচেলর্স ও মাস্টার্স কোর্সে পড়াশোনা করতে পারেন।
স্পেনে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
স্পেনে ব্যাচেলর পড়তে গেলে আপনার ১২ বছরের শিক্ষা জীবনের অর্থাৎ HSC পাশ করে আসতে হবে, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ১৬ বছরের শিক্ষা জীবনের অর্থাৎ, ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকতে হবে এবং পিএইচডি করার জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রী। এরপর আপনার দরকার হবে ভাষাগত দক্ষতার। আপনি ইংরেজী ভাষায় কোর্স করতে চাইলে আপনাকে IELTS এ ৫.৫/৬.০ – ৭.০ স্কোর পেতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই স্কোর পরিবর্তিত হয়। আর আপনি যদি স্প্যানিশ ভাষায় কোর্স নিতে চান তাহলে আপনাকে স্প্যানিশে আপনার B1/B2 বা DELE (Diploma of Spanish as a Foreign Language) Intermediate বা DELE B1/B2 থাকতে হবে। DELE সার্টিফিকেটটি ইস্যু করে Cervantes Institute, Spain.
স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা
বাংলাদেশে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার জন্য কিছু ইন্সিটিউট রয়েছে বিশেষ করে আধুনিক ভাষা ইন্সিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ স্প্যানিশ ডিপার্টমেন্টে জুনিয়র এবং সিনিয়র কোর্স নামে ১বছর করে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু রয়েছে যা সাধারনত প্রতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়। তাছাড়া ঢাকার আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষাদান করা হয় যেমন ব্রাক ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি।
এখানে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু লিংক দেওয়া হল যেখানে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় সম্বন্ধে জানা যাবে।
https://www.facebook.com/catedra.inditex.du/
ডকুমেন্টস সত্যায়ন
স্পেনে আবেদনের জন্য আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রথমে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করিয়ে নিতে হবে। এরপর, ঢাকাস্থ স্পেনের দূতাবাস থেকে সকল ডকুমেন্টস সত্যায়ন করাতে হবে। অনলাইনে আবেদনের সময় অনেক সময় হার্ডকপিও চায়। তাই এজন্য সত্যায়িত ফটোকপি আপনাকে পাঠাতে হতে পারে। আপনার ডকুমেন্টস যেন সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পৌছায় এজন্য হাতে সময় নিয়ে ডকুমেন্টস পাঠানো ও আবেদনের কাজ শুরু করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতোকত্তর অথবা পিএইচডি সব ধরণের প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ আছে স্পেনে।
স্পেনে তিন ধাপে ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১ম ধাপে স্নাতক কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত বছরের শুরুর(ফেব্রুয়ারী-জুন) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।
২য় ধাপে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত বছরের মাঝখানের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।
৩য় ধাপে গবেষণামূলক/PhD কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।
স্পেনে দুই ধরণের মাস্টার্স কোর্স আছেঃ একটি অফিসিয়াল মাস্টার্স, যা স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত আর দ্বিতীয়টি হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও অফারকৃত মাস্টার্স প্রোগ্রাম, যা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার ব্যাচেলরের মার্ক্স স্পেনের সমতুল্য স্কেলে রূপান্তর করিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পরবে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট (স্পেনের স্কেলে রূপান্তরকৃত)
২। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৩। CV
৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের প্রমাণ
সকল ডকুমেন্টস ঠিক ঠাক মত জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেইল করে জেনে নিতে হবে।
আপনার ডকুমেন্টস সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে, ১-২ মাসের মধ্যে আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে। Acceptance Letter আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আবেদন কনফার্ম করার জন্য টিউশন ফি-এর পুরোটা বা আংশিক অংশ বিশ্ববিদ্যালয়রের প্রদত্ত ব্যাংক একাউন্টসে পাঠিয়ে দিতে হবে। টিউশনের ফি-এর কতটুকু অংশ জমা দিতে হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হতে পারে। এই টিউশন ফি (আংশিক/ পূর্ণ) জমা দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে Acceptance Letter -এর হার্ডকপি ও ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাঠাবে।
পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ
স্পেনে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আপনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে আপনার বার্ষিক ফি দিতে হবে ৬,০০-১,২৮০ ইউরো। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হলে বার্ষিক ফি-এর পরিমাণ হবে ৫,৫০০-১৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি-এর তারতম্য হয়ে থাকে। নন-ইউরোপীয় শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে প্রতি ক্রেডিট ৫৫-৮০ ইউরো হয়ে থাকে আর মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে এই প্রতি ক্রেডিট ফি হয়ে থাকে ২২-৩৬ ইউরো।
স্পেনের পাবলিক ও প্রাইভেট সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে বৃত্তির সুবিধা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই থাকে সকল স্কলারশিপের খবরা-খবর। নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে স্কলারশিপের জন্য নিচের ওয়েব সাইট ঘুরে আসতে পারেনঃ
https://www.aecid.es/ES/becas-y-lectorados/convocatorias-maec-aecid
স্পেনের আবাসন ব্যবস্থা
স্পেনে আপনি কোথায় আছেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনাকে আবাসন বাবদ কত খরচ করতে হবে। মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মত শহরে থাকতে আপনাকে ৩৫০ – ৯০০ ইউরো দিতে হতে পারে শেয়ারড ফ্ল্যাটের জন্য। কিন্তু আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে স্যালামাঙ্কা, স্যান্টিয়াগো ডি কম্পোসটেলা ও গ্র্যানাডা শহরে থাকেন আপনি ৩০০ ইউরোতে আপনার ফ্ল্যাট পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খরচও এখানে কম। সমস্যা হবে আপনাকে রোজ বেশ খানিকটা রাস্তা কমিউট করে বিশ্ববিদ্যালয় পৌছাতে হবে।
আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেও আবেদন করতে পারেন। দ্রুত আবেদন করলে আপনার হোস্টেলে থাকার সম্ভবনা বেড়ে যাবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, ভিসার জন্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে হাউজিং কন্ট্রাক্ট ডকুমেন্টস।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট
স্পেনের ভিসা পেতে আপনার সময় লাগবে ৩ মাসের বেশি, তাই আগে ভাগেই আপনাকে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভিসা পাওয়ার প্রথম ধাপ হবে আপনাকে ঢাকাস্থ স্পেনের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য নিচের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এপয়েন্টমেন্ট নিনঃ
http://www.exteriores.gob.es/embajadas/dhaka/es/Paginas/inicio.aspx
আপনি সকল কাগজ নিয়ে সময়মত এম্বেসীতে উপস্থিত হয়ে ডকুমেন্টস সাবমিট করবেন। যদি সকল ডকুমেন্টস ঠিক থাকে, তাহলে ভিসা ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে রশীদসহ সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ
১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Offer Letter
২। সকল সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ
৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ
৪। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার
৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস
৬। IELTS / DELE B1-B2 এর সনদ
৭। হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্টস
১১। ফ্লাইট বুকিং টিকিট
১২।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)
পার্ট টাইম জব ও জীবনযাত্রার খরচ
স্পেনে একজন বিদেশী শিক্ষার্থীর সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ থাকে। তবে, পার্ট টাইম জবের টাকায় নিজের খরচ চালানো সম্ভব হলেও টিউশ্ন ফি দেওয়া সম্ভব হবে না। স্পেনে থাকা-খাওয়া বাবদ মাসিক খরচ প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো, এটা নির্ভর করে শহর, ব্যক্তির লাইফ স্টাইল এর উপর।
স্পেনে স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ
গত সেপ্টেম্বর ২০১৮ সাল থেকে স্পেনে একটি নতুন ইমিগ্রেসন আইন অনুমোদন করা হয়েছে, এই আইনের অধীনে স্পেনে উচ্চশিক্ষারত বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সমাপ্তির পর স্পেনে একটি চাকরি খোঁজার জন্য অথবা নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে সর্বোচ্চ ১২-মাস স্পেনে থাকার অনুমতি পাবেন।
এখানে ৫ বছর থাকার পর Temporary Resident Permit এর জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমনঃ সফলভাবে স্পেনে কোর্স শেষ করতে হবে, স্বাস্থ্যবীমা থাকতে হবে এবং চাকুরী পাওয়ার আগ-পর্যন্ত চলার মত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র। আর টানা ১০ বছর থাকার পর, আপনি Permanent Residence এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যাই হোক, স্বপ্নের স্পেন হোক আপনার সম্ভবনার নতুন দুয়ার। শুরু করে দিন আজই স্পেনে ভর্তির আবেদন।