আমেরিকায় উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুণ নিজের আবেদন

পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ আমেরিকা। বলা যেতে পারে, সব সম্ভবের দেশ হল আমেরিকা। আর রিসার্চ, পড়াশুনা, জ্ঞানচর্চার আর এরপর ভালো সুযোগ ও বেতনের চাকুরির জন্য সবচেয়ে ভালো ডেস্টিনেশন এখন আমেরিকা। আর বিশ্বের সকল দেশের একগুচ্ছ ভালো শিক্ষার্থী প্রতি বছর জড়ো হচ্ছে এই United Stated of America-এ আর গড়ে তুলছে নিজেরদের ভবিষ্যৎ। অন্যভাবে দেখলে বলা যায়, বিশ্বে পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা তৈরী করেছে অপার সুযোগ ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ- আর এই শক্তিশালী মেধাবীরাই গড়ে তুলেছে উন্নত আমেরিকা। বিশ্বের সব দেশের সব ভাষার শিক্ষার্থীদের আমেরিকা নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই- আর সেই উৎসাহের ও উদ্দীপনার কথা মাথায় রেখে আজ আমরা আপনাদের তুলে ধরছি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার বিষয়ে।

কেন আমেরিকায় পড়তে যাবেন?

জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, আগে প্রাচ্য ছিল জ্ঞানের আধার। চীন, ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ আসত জ্ঞান লাভের জন্য। কালের পরিক্রমায় আজ পাশ্চাত্যের আমেরিকা হয়েছে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আখড়া। শুধু আপনি জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে আনন্দিত হবেন আমেরিকায় তাই নয়- পরবর্তীতে ভালো চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভবনা ও সুযোগ সবটাই আছে এই দেশে। সাধারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বাৎসরিক ৫০-৬০ হাজার ডলার রেমুনারেশন পেয়ে থাকে। আর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এই দেশে আরো কিঞ্চিৎ বেশি। অনেক ক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক বেতন আরো বেশি হতে পারে। বুঝতেই পারছেন- এই দেশে টেকনিক্যাল বিষয়ে চাকুরীর সুযোগ অনেক অনেক বেশি ও সম্ভবনাময়।

Statue of Liberty
Image Source: pixabay.com

আমেরিকা ৫০ টি স্টেটস বা অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত যার আয়তন ৯৮,৩৩,৫২০ বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩২৮ মিলিয়ন। এই দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি,সি আর সবচেয়ে বড় শহর নিউ ইয়র্ক। অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ এই দেশের জিডিপি ২২.৩ ট্রিলিয়ন। আর আবহাওয়া এই দেশের অঞ্চলভেদে পরিবর্তন করে আর এই দেশের মধ্যেই আছে ৯টি স্টান্ডার্ড টাইম জোন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই দেশ কতটা বড় আর কতটা বৈচিত্র্যময়।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

আপনি যদি অনার্স বা ব্যাচেলর পড়তে যেতে চান, তাহলে SAT বা ACT পরীক্ষায় বসতে হবে। এরপর আপনার পছন্দের কলেজ কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করতে হবে। ব্যাচেলরে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো মূলত তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি করে না। আর ব্যাচেলর কোর্সে প্রথম দুই বছর সব ডিসিপ্লিনে একই বিষয় পড়ানো হয়। তাই, কোন নির্দিষ্ট বিষয় না সিলেক্ট করেই আপনি প্রথম দুই বছর পার করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী, আপনার কোর্স বেছে নিতে পারবেন।  আর মাস্টার্স করতে গেলে আপনাকে GRE/ GMAT স্কোর প্রয়োজন পরবে। মাস্টার্সে গেলে আপনাকে আপনার ব্যাচেলরের ডিগ্রীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোন বিষয় নির্বাচন করে নিতে হবে। মাস্টার্সে দুইটি ক্যাটেগরী থাকেঃ কোর্স বেজড ও থিসিস বেজড।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম রিকোয়ারমেন্ট থাকে GRE/GMAT আর  IELTS/TOEFL। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য এই যোগ্যতা থাকতে হবে- মূলত এই স্কোর আপনার ভর্তি নিশ্চিত করে না। যদিও ভালো GRE/ GMAT স্কোর ভর্তির দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আমেরিকায় বিভিন্ন রেঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- আপনি আপনার সুবিধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবেন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

আমেরিকায় আপনি পড়তে পাড়বেন যেকোন বিষয়। বিজ্ঞানের যে কোন শাখায়, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যেকোন অঙ্গনে, বিজনেস স্কুলের যেকোন অলি-গলি কিম্বা মেডিকেল টেকনোলজী বা সাইন্স সব বিষয়েই পড়তে পারবেন। তবে আমেরিকায় কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলোজী, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আইন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বা মূলত গবেষণামুলক বিষয়ে পড়তে বেশি উৎসাহিত করা হয়। প্রযুক্তিবিদ্যা ও এপ্লাইড সায়েন্সর কদর এই মুলুকে একটু বেশি।

কোন ইউনিভার্সিটি বেছে নেবেন? কেন বেছে নেবেন?এ ব্যাপারে কখন কিভাবে আগাবেন? ব্যাপারগুলো খুব কনফিউজিং বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু পরিচিত হয়ে গেলে সেটা সহজ হয়ে আসবে আপনার জন্য।

Harvard University USA
Image Source: Internet

কোন ইউনিভার্সিটি সেরা এটা একটা খুব সাধারন জিজ্ঞাসা। আর এই জিজ্ঞাসাকে সামনে রেখে ইউএসনিউজ প্রতিবছর একটা র‍্যাঙ্ক লিস্ট (https://www.usnews.com/best-graduate-schools) প্রকাশ করে। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টকে মোটামুটি সবাই বেশ ভাল বলেই মেনে নেয়। এই র‌্যাঙ্কিং করার সময় ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকের কোয়ালিটি, তাদের মোট প্রকাশ করা পেপার, সেই পেপারগুলোর মান, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের দেয়া আর্থিক সাহায্য এই সবকিছুকে বিবেচনা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিতে পার্কিং সুবিধার মত অদরকারী বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়, সেজন্য অনেকে এই র‌্যাঙ্কিং প্রথার বিরুদ্ধে মতামত দিয়ে থাকেন। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টটা দেখতে হলে পয়সা দিতে হয়। তাই কেবল উপরের দিকের কয়েকটা ইউনিভার্সিটির নাম দেখা ছাড়া আর কিছুই করা যায় না এ দিয়ে।

 

আমেরিকায় বিশ্বমানের অনেক অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই দেশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে নিজের আসন জোগাড় করে নিতে পারবেন এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিচে আমেরিকার কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে ধরা হলঃ

১। Massachusetts Institute of Technology

২। Stanford University

৩। Harvard University

৪। California Institute of Technology

৫। University of Chicago

ফান্ড বা স্কলারশিপ এর সুযোগ

ফান্ড বা স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনাকে থিসিস বেজড মাস্টার্স নির্বাচন করে প্রফেসর খুঁজে নিয়ে তার আন্ডারে রিসার্চ করার জন্য যেতে হবে।  আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। আমেরিকায় প্রফেসররা অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তারা চাইলে আপনাকে ডিরেক্ট এডমিশন দিতে পারেন। প্রফেসর আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। অন্যদিকে পিএইচডি মাত্রই রিসার্চ বেজড। তাই রিসার্চ করার মন ও মানসিকতা নিয়েই আপনাকে পিএইচডি-তে এপ্লাই করতে হবে।

ভাষাগত দক্ষতা

ভাষাগত দক্ষতার জন্য আপনাকে বসতে হবে TOEFL অথবা IELTS পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিকোয়ারমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন পরবে দেখে নিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির জন্য TOEFL/ IELTS চায় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না চাইলেও এই পরীক্ষা দিয়ে রাখা ভালো- তাহলে ভিসা প্রাপ্তিতে সুবিধা হবে।

Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আমেরিকায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আমেরিকায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে।

আমেরিকায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Spring সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Spring সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে জুলাই পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি আগস্ট থেকে ডিসেম্বর। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট [অবশ্যই ইংরেজীতে হতে হবে]

২। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো কমেন্ট থাকতে হবে।

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

৬। TOEFL/IELTS এবং GRE/GMAT [For Post-Grad] বা SAT/ACT [For Under graduation]  

আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য রিকোমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন পরে- তাই আপনার সমন্ধে যিনি পজিটিভ লিখবেন সেরকম কোন স্বনামধন্য প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার চেষ্টা করুন। রিকোমেন্ডেশন লেটার আপনার ভর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর যে ডকুমেন্টসটি আপনার প্রয়োজন পরবে সেটা হল স্টেটমেন্ট অব পারপাস। তাই অত্যন্ত যত্নশীল হয়ে স্টেটমেন্ট অব পারপাস লেখার চেষ্টা করুন।এ ব্যাপারে জানতে  http://www.statementofpurpose.com/ ।

এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডব্লিউ.ই.এস. (http://www.wes.org/) বলে একটি সার্ভিসের শরনাপন্ন হতে হবে। তাদের কাছে আপনার রেজালটের এক কপি পাঠালে তারা আপনার ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আরো এক কপি চাইবে। এই দুই কপিকে যাচাই করে ইউএস ইকুইভ্যালেন্ট নাম্বার পাঠাবে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মত সময় নেয় ভর্তি বিষয়ক তাদের ফলাফল জানানোর জন্য। তাই হাতে কমপক্ষে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করুন।

সাহায্য নিতে পারেন নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট সমুহের –

১। https://educationusa.state.gov/

২। https://www.commonapp.org/

Students- USA
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

আমেরিকায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার সব মিলিয়ে খরচ হবে ১৫ – ২০ লাখ টাকা। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি টার্মে ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা খরচ হবে।

আমেরিকায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। আমেরিকায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভিসার জন্য আবেদন

আমেরিকার এম্বেসী বাংলাদেশে আছে তাই আপনি ঢাকাস্থ আমেরিকান এম্বেসী থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ 

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

Hollywood Sign - USA
Image Source: pexels.com

আমেরিকায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

আমেরিকায় যাবার আগেই আপনাকে করতে হবে সেইদেশে থাকার ব্যবস্থা। সাধারণত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব হোস্টেল ব্যবস্থা। কিন্তু এইসব হোস্টেল তুলনামূলক ব্যয়বহুল। তাই আপনি চাইলে যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব ও অন্যান্য হিসেব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসে-পাশে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এজন্য আপনি পাবেন মোড়েল। শেয়ারড ফ্ল্যাট, পেইং গেস্ট সুবিধাসহ অনেক ব্যবস্থা।

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

আমেরিকায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে না। ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ খুব সুলভ না হলেও মোটামুটি পেতে খুব সমস্যা হয় না। ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন। এসব কাজ করলে আপনি ঘন্টায় ৬-২৫ ডলার করে আয় করতে পারবেন।  সমস্যা এখানে থাকা-খাওয়ার খরচটা উঠে আসলেও টিউশনটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে।

আমেরিকায় পড়াশুনার শেষে ১-৩ বছরের Work Permit পাবেন। এরপর বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। আমেরিকায় নাগরিকত্ব পেতে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে কমপক্ষে বছর দশেক।

Life in USA
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

লেখক/লেখিকা পরিচিতিঃ

Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments