বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় যে স্কলারশিপ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা মোটামুটি আমাদের সবার কাছের বোধগম্য। স্বপ্নের সোপানে পাড়ি জমাতে স্কলারশিপ হতে পারে জাদুর কাঠি। ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে সব কিছুই, যেমনঃ বসবাসের জন্য ভাতা, যাতায়াত ভাতা, এয়ার টিকিট সহ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আজ আমাদের আলোচনায় তুলে ধরবো জনপ্রিয় কিছু স্কলারশিপের সাত কাহন। তাহলে আর দেরী কেন? শুরু করা যাক –
১। ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ ১৫৫টি দেশের ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়। বিজ্ঞান, কলা, মানবিক কিংবা প্রকৌশল বিদ্যা- সব বিষয়ের জন্যই এই স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, টিউশন সহ যাবতীয় একাডেমিক ফি, থাকা-খাওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ এলাওয়েন্স, ব্যাগেজ এলাওয়েন্স সহ ইত্যাদি।
ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পেতে আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে, ইউএসএর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী থাকা যাবে না, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর বাংলাদেশের হতে হবে; তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হলে সমস্যা নেই, কমপক্ষে দুই বছর কর্ম-অভিজ্ঞতা আছে, IELTS এ ন্যূনতম ৭ অথবা TOEFL ন্যূনতম ৮০ স্কোর থাকতে হবে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে – এই সব যোগ্যতা থাকলে তবেই আপনি এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।
২। শেভেনিং স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ মাস্টার্স স্কলারশিপ
শেভেনিং ও কমনওয়েলথ স্কুলারশিপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রোগ্রাম, যেখানে ১৪৪ দেশ থেকে ১৫০০ জন জ্ঞানপিপাসু ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার পাশাপাশি মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। তবে এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে ২ বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতা (Job Experience) এবং পড়া শেষ হবার দুই বছরের মধ্যে আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।
শেভেনিং স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থী টিউশন ফি, মাসিক ভাতা, নিজ দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার যাতায়াত ভাতা, একটি ভিসা আবেদনের খরচ, আগমন ভাতা, নিজ দেশে প্রস্থান ভাতা, যুক্তরাজ্যের শেভেনিং ইভেন্টগুলিতে অংশ নিতে ভ্রমণ অনুদানসহ ইত্যাদি। শেভেনিং স্কলারশিপ প্রতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্য আবেদন করতে হয়।
এই প্রোগ্রামে এপ্লাই করতে আপনার অনার্সে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে, মাস্টার্স কোর্সে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে, আবেদন করার জন্য ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, আইইলটিএসে ন্যুনতম ৬.৫ থাকতে হবে (প্রতি সেকশনে ন্যুনতম ৫.৫), কিন্তু এর পূর্বে ব্রিটেন (UK) সরকার-অর্থায়িত বৃত্তির তহবিলের সাহায্যে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করলে, এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবেনা। আবার, আপনার যদি একটা মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট করা থাকে, আপনিও এই স্কলারশিপে পুনরায় মাস্টার্স ডিগ্রী এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অপরপক্ষে, কমনওলেথ স্কলারশিপ সাধারণত ৬ টি ক্যাটেগরীতে দেওয়া হয়। এগুলো হলঃ
Science and technology for development
Strengthening health systems and capacity
Promoting global prosperity
Strengthening global peace, security and governance
Strengthening resilience and response to crises
Access, inclusion and opportunity
এই স্কলারশিপের প্রথমিক বাছাইপর্ব সম্পাদন করে ইউজিসি- তাই তাদের ওয়েবসাইটে (http://www.ugc.gov.bd/) গিয়ে আপনি চাইলে আবেদন করতে পারবেন। প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং সকল সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য পৌছে দিতে হবে ঢাকাস্থ ইউজিসি সদর দপ্তরে। এই স্কলারশিপ অত্যন্ত সম্মানজনক একটি প্রোগ্রাম। তাই, কম্পিটিশনও খুব বেশি এই প্রোগ্রামে যাবার জন্য।
৩। DAAD স্কলারশিপ
জার্মানীতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আছে ডাড স্কলারশিপ। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে এই স্কলারশিপের উইন্ডো চালু হয়।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট (http://www.moedu.gov.bd/) – এ ড্যাড স্কলারশিপের যাবতীয় সকল তথ্য পাওয়া যাবে। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের সাথে যোগাযোগের পর এই স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য এম্বেসীতে আবেদন করতে হবে। এম্বেসী তখন তাদের নিজস্ব স্টাফদের ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আবেদন গুলোকে নিরীক্ষণ করে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের স্কলারশিপ অফার করা হয়।
ড্যাড স্কলারশিপ অনেক বেশি সম্মানজনক এবং শুধু তাই নয়, যাদের ব্লক একাউন্টের সমস্যা থাকলে সেটাও মিটবে এই প্রোগ্রামে।
এই প্রোগ্রামে এপ্লাই করার জন্য প্রয়োজন পড়বেঃ Participation Form, Cover Letter, Acceptance letter from the university/Enrollment certificate, Higher education entrance qualification certificate, Proof of work experience/vocational training, Copy of previous study certificates, Up-to-date Transcript of records, Proof of voluntary work/Personal Commitment, এবং CV।
৪। ইরাসমুস মুন্ডুস
ইউরোপ ভিত্তিক ইরাসমুস মুন্ডুস প্রোগ্রামে টিউশন ফি, লাইব্রেরি ফি, পরীক্ষা ফি, গবেষণা সংক্রান্ত ফি, বিমান খরচসহ জীবনযাত্রার অর্ধেক খরচ প্রদান করা হয়। যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর হল একাধিক দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি থাকায় এই স্কলারশিপের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের শিক্ষার্থীরা কোর্স চলাকালে কমপক্ষে ০২ টি ভিন্ন দেশের ০২ টি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।
এই প্রোগ্রামের আওতায় ১৫০টি বিষয়ের উপর স্কলারশিপ পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ প্রকৌশল, কৃষি, ভেটেনারি, ব্যবসায় প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, আইন, গণিত, মানবিক ও কলা সহ ইত্যাদি। এসকল বিষয় থেকে আপনি সর্বোচ্চ তিনটি প্রোগ্রামে এপ্লাই করতে পারবেন।
বিষয়গুলো সমন্ধে আর বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুন এই ওয়েব সাইটঃ
প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর – জানুয়ারি পর্যন্ত আপনি এই প্রোগ্রামের অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রোগ্রামে আপনাকে শুধু তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবপেজে ডকুমেন্ট আপলোড করলেই হবে আর এ জন্য প্রয়োজন পড়বে – সিভি, মোটিভেশন লেটার, সর্বশেষ ডিগ্রি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, রিকমেন্ডেশন লেটার, ও ইংরেজী ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র। তবে ইরাসমুস মুন্ডুস প্রোগ্রামের সকল বিষয়ে আবেদন করতে IELTS স্কোর প্রয়োজন পড়ে না- অনেক বিষয়ে আবেদন করতে শুধু “Medium of Instruction (MIC)” বা “Language of Instruction (LIC)” দিয়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
৫। মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি (জাপান)
জাপানের মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তির আওতায় বাংলাদেশের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে মোট ২০০ শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়ে থাকে। তবে স্নাতক পর্যায়ে সবচেয়ে কম সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি বছর মার্চের শেষে বা এপ্রিলের মাঝামাঝি এই সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। তাই উচিত হবে জানুয়ারিতে প্রফেসর খোঁজা। (https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_in_Japan) – এই লিংকে আপনি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পাবেন এবং এই লিস্ট থেকে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রফেসর খুঁজে এপ্লাই করে ফেলতে পারবেন এই স্কলারশিপে।
VLIR- UOS স্কলারশিপ বেলজিয়াম সরকারের একটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের আওতায় হেলথ ইনস্যুরেন্স, টিউশন ফি, যাতায়াতের সব খরচ প্রদান করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এডজাস্ট করার জন্য ৮০০-১২০০ ইউরো দেওয়া হবে আর আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে বৃত্তির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এই প্রোগ্রামের সার্কুলার পাওয়া যাবে এই বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের লিংকেঃ
তুরস্ক সরকার প্রদেয় তুর্ক বুর্সলারি বৃত্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ। আপনার প্রোফাইল যদি তাদের পছন্দ হয়ে যায়, তবে আপনি শর্টলিস্টেড হবেন এবং ডাক পেয়ে যাবেন তুরস্কের এম্বেসীতে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য। এই প্রোগ্রামের আওতায় আপনি টিউশন ফী- এর পাশাপাশি মাসিক ভাতা পাবেন ৭০০ টার্কিশ লিরা।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিম্নোক্ত ওয়েবসাইট এ সার্কুলার পাওয়া যাবেঃ
চীনের ২৫০ এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, প্রকৌশল, বিজ্ঞান, কৃষি সহ অন্যান্য বিষয়ে পড়ার জন্য চাইনিজ সরকারের বৃত্তি সিএসসি স্কলারশিপ। তবে চাইনিজ ভাষা জানা থাকলে এই স্কলারশিপ পেতে সুবিধা হবে আর না থাকলেও সমস্যা নেই- আপনাকে কর্তৃপক্ষ চাইনিজ ভাষার উপর এক বছরের কোর্স করিয়ে নেবে কারণ চীনে পড়াশুনার ভাষাই হল চাইনিজ।
যদি আপনার গন্তব্য হয় রাশিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাহলে রাশিয়ান সরকারি বৃত্তি তো আছেই। এই বৃত্তির জন্য রাশিয়ান ভাষা জানা জরুরী আর না জানলে আপনাকে রাশিয়ায় গিয়ে ৭ মাসের ভাষার কোর্স করতে হবে। রাশিয়ান সরকারি বৃত্তির মধ্যে টিউশন, বাসস্থান, ভিসা চার্জসহ সব কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বিমান ভাড়া, খাবার খরচ অন্তর্ভুক্ত নেই। এমনকি রাশিয়া পৌছে আপনাকে নিজের খরচে স্বাস্থ্যবীমা করাতে হবে। তবে এও স্কলারশিপের আওতায় আপনাকে মাসিক ১৫০-২৫০ ডলার প্রদান করা হবে।
কোরিয়ান এই সরকারি বৃত্তি পেতে আপনাকে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষা জানা থাকতে হবে- অর্থাৎ, IELTS এর কোন বালাই নাই। আর সকল পরীক্ষায় আপনাকে ৮০% মার্ক্স পেয়ে আসতে হবে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত খোঁজ নিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পেজে (http://www.moedu.gov.bd/)
মেডিকেল সাইন্স ছাড়া প্রায় সকল বিষয়েই স্কলারশিপ প্রদান করে কেজিএসপি। এই প্রোগ্রামে টিউশন, থাকা-খাওয়া, ভিসা চার্জ, মেডিকেল ইনস্যুরেন্স সহ বছরে একবার যাতায়াতের বাড়ি যাবার জন্য আপনি পাবেন বিমানের টিকিট।
১১। Nuffic স্কলারশিপ
নেদারল্যান্ডসে পড়ার জন্য প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে NFP ও Nuffic স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। আবেদনের সকল বিষয়াদি আপনি অনলাইনে সেরে নিতে পারবেন।
“অস্ট্রেলিয়ান অ্যাওয়ার্ডস” অস্ট্রেলিয়া সরকারের অত্যন্ত সম্মানজনক বৃত্তি- যার মাধ্যমে টিউশন ফি, ভ্রমণ ভাতা, প্রতিষ্ঠান ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ শিক্ষার্থীকে মাসিক পাঁচ হাজার ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে হবে।
যারা আমেরিকা, কানাডায় যেতে খুব একটা ইচ্ছুক নন, তারা ফ্রান্সের ব্যাপারে বেশ উৎসাহী হন। আর ফ্রান্সের সব থেকে সম্মানজনক, যাকে সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস বৃত্তি আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য জনপ্রিয় এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের ১৪০০ ইউরো সাথে যাতায়াত ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়া অন্যান্য খরচ যেমনঃ টিউশন ফী’স তো আছেই।
এই প্রোগ্রাম মাস্টার্সের জন অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছরের ব্যক্তিদের বেশি মূল্যায়িত করা হয়ে থাকে। আপনি একবার রিজেক্টেড হলে আপনি আর কখনোই পুনঃরায় আবেদন করতে পারবেন না।
যারা মাস্টার্সে পড়ার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ফ্রান্সে যাবেন, তাদের অন্তত 75% কোর্স সম্পন্ন সেই দেশেই করতে হবে। আপনি শিক্ষানবিশ চুক্তি বা পেশাদার প্রশিক্ষণ চুক্তির জন্য এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন না।
আপনি যে কোর্সে আবেদন করবেন, তার মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন ইংরেজী হলে আপনাকে ইংরেজী ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ আর ফ্রেঞ্চ ভাষায় কোর্স করতে আপনাকে ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র দিতে হবে।
প্রতি বছর ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে হয় আর এ স্কলারশিপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে পারবেন নিম্নোক্ত ওয়েব সাইটেঃ
প্রতি বছর ৫৫০ জন বিদেশী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফী, জীবন যাত্রার খরচ, আংশিক যাতায়াত খরচ ও বীমা খরচ প্রদান করে সুইডেনে পড়ার সু্যোগ করে দেয় সুইডিশ ইন্সটিটিউশন স্টাডি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। আবেদন করার সু্যোগ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যায় এবং স্কলারশিপ এপ্রিলে এ্যাওয়ার্ড করা হয়।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আপনার টিউশন ফী, মাসিক ১০,০০০ সুইডিশ ক্রোনা, যাতায়াত ভাতা ও স্বাস্থ্যবীমা ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
চেক প্রজাতন্ত্রে পড়ার জন্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য চেক সরকার বিশেষত মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। এ দেশে পড়তে চেক ভাষা জানা জরুরী- অথবা স্কলারশিপ পেলে তারাই আপনাকে এক বছরের চেক ভাষার উপর কোর্স করিয়ে নেবে। ডিসেম্বর – ফেব্রুয়ারির মধ্যে আপনাকে সকল ডকুমেন্টস সহ এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে আর এ জন্য ব্রাউজ করুনঃ
যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ অন্যতম নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েস্ট মিনিস্টার আর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত বৃত্তি ব্যবস্থার নাম ওয়েস্টমিনিস্টার ফুল ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ ফুল ফান্ডেড ও হালফ ফান্ডেড দুই-ই হয়।
এই স্কলারশিপ মূলত পুরো টিউশন ফি, একোমোডেশন বা আবাসন ব্যবস্থা, লিভিং এক্সপেন্সেস ও আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া সবটাই বহন করে থাকে। এই স্কলারশিপে আবেদন করতে সন্তোসজনক একাডেমিক রেজাল্ট থাকতে হবে, IELTS-এ প্রতিটি সেকশনে ন্যূনতম ৫.৫, আর মাস্টার্সের ক্ষেত্রে অভারঅল ৬.৫ এবং আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অভারঅল ৬ থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে, কোর্স ভেদে স্কোরের চাহিদা বেশি হতে পারে। এই প্রোগ্রামের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে আবেদনের জন্য HSC এ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫ পেতে হবে। মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ থাকতে হবে। শুধুমাত্র বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ রিকোয়ারমেন্ট ২.৮। তবে ফুল স্কলারশিপে আবেদন করতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৭৫ থাকতে হবে।
সতর্কবানীউপরোক্ত আর্টিকেল এর সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং এম্বেসী এর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। হালনাগাদ তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বেসী এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরোক্ত আর্টিকেল এর কোন তথ্য/উপাত্ত আপনার কাছে ভুল মনে হলে সঠিক তথ্যের রেফারেন্স/ওয়েবলিংক সহ নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these cookies, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may have an effect on your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. This category only includes cookies that ensures basic functionalities and security features of the website. These cookies do not store any personal information.
Any cookies that may not be particularly necessary for the website to function and is used specifically to collect user personal data via analytics, ads, other embedded contents are termed as non-necessary cookies. It is mandatory to procure user consent prior to running these cookies on your website.