সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস (এসআই স্কলারশিপ)

উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র হিসেবে সুইডেন একটি ভালো গন্তব্য। পুর্বে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেনে উচ্চশিক্ষা টিউশন ফি ফ্রি থাকলেও ২০১১ সাল থেকে বিদেশি (নন-ইইউ) শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেন সরকার টিউশন ফি আরোপ করেছে।

সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস বর্তমানে সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস (SISGP) নামে পরিচিত। মূলত সুইডেনে ১-২ বছর মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। এটি একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ তবে যদি প্রথম বছরে রেজাল্ট ভালো না হয়, তবে দ্বিতীয় বছরে আর বৃত্তি দেওয়া হয় না।

স্কলারশিপ এর নাম

সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস অথবা সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস।

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় আর কোর্সগুলো সমন্ধে বিস্তারিত জানতে ভিজিত করুনঃ https://www.universityadmissions.se/intl/start

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

সুইডেন সরকার।

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। সম্পুর্ন টিউশন ফি

২। মাসিক লিভিং এক্সপেনস

৩। যাতায়ত বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্য বীমা

৫। এককালীন ভ্রমন ভাতা

৬। SI Network for the Future Global Leaders (NFGL) নামক সংঘটনের ফ্রী মেম্বারশীপ।

৭। স্কলারশিপ পিরিয়ড শেষে ফ্রী মেম্বারশীপ সুবিধা মিলবে SI Alumni Network এর সাথে যুক্ত হওয়ার যা পেশাগত ক্যারিয়ারে অনেক সুবিধা প্রদান করবে।

আবেদনের যোগ্যতা

স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

     ১। কমপক্ষে ২ বছরের বা ৩০০০ ঘন্টা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কর্মভিজ্ঞতা শুধু চাকুরী নয়, বরং বিভিন্ন লিডারশীপ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে ইন্টার্নশিপ, সোশ্যাল ওয়ার্কও এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে।

     ২। IELTS এ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়ে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার IELTS Score প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত IELTS score 6.0 চাওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে IELTS ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে Medium of Instruction (English) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদন করতে হবে দুইটি ধাপে। প্রথম ধাপে আবেদনের সময় ডিসেম্বর। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করতে হবে ফেব্রুয়ারিতে। তারপর যারা বৃত্তি পাবেন তাদের নাম প্রকাশ করা হবে এপ্রিলে (ইমেইল করা হবে)।

হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন – https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

সারা বিশ্বের ৩৪ টি দেশের মোট ৩০০ জনকে এই স্কলারশিপে দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই তালিকায় বাংলাদেশও আছে তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন।

অন্যান্য দেশ সমুহঃ

বলিভিয়া, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, ঘানা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, জর্দান, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মরোক্কো, মায়ানমার (বার্মা), নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাঞ্জানিয়া, তিউনিসিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।

Swedish Institute Study Scholarship
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

সুইডেনে ভর্তিপ্রক্রিয়া কেবল একটি অনলাইন এপ্লিকেশন সার্ভিসের (www.universityadmissions.se) মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এটা অত্যন্ত সহজ ও ঝামেলাবিহীন। এই সাইটে একবার অ্যাকাউন্ট করলেই যেকোনো বিষয়ে, যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে।

একটা বিষয় ক্লিয়ার  হওয়া দরকার যে – Swedish University Admission authority (www.universityadmissions.se)  এবং SI Scholarship authority দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠান।

আগ্রহী প্রার্থিকে প্রথমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। আপনি প্রথম স্টেপে ভর্তি নিশ্চিত করবেন।ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় স্টেপে আবেদন করতে হবে স্কলারশিপ এর জন্য।

স্কলারশিপ আবেদনের জন্য ভিজিট করুন – https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/#how-to-apply

এরপর সুইডিশ কাউন্সিল ফর হাইয়ার এডুকেশন তাদের নিরীক্ষা চালিয়ে আপনাকে ফলাফল জানিয়ে দিবে।  

আপনি সর্বোচ্চ ৪টি বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন ফী ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা। 

স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। মোটিভেশন লেটার
২। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট।
৩।  ইউরোপিয়ান ফরম্যাটে CV । যেটা বলা হয় ইউরোপাস (Europass) ; এই ফরম্যাটে সিভি তৈরির জন্য অনুসরণ করুন এই লিংক: https://europass.cedefop.europa.eu/en/documents/curriculum-vitae
৪। দুটি রেফারেন্স লেটার। অন্তত ১ টি তে আপনার কাজের বা চাকরির বিবরণ থাকতে হবে। অবশ্যই SISGP ফরমে রেফারেন্স নিতে হবে। ফরম অফিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে
৫। কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট।
৬। পাসপোর্টের স্ক্যান কপি

৭।  IELTS এর সনদ

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনঃ

https://www.universityadmissions.se/en/All-you-need-to-know1/Applying-for-studies/Application-process/Creating-a-user-account/

স্কলারশিপের আবেদনঃ

https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/#how-to-apply

তথ্যসুত্রঃ

লেখক/লেখিকা পরিচিতিঃ

Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments